তমাল এবং রিয়া কলেজ লাইফের ফ্রেন্ড। ওদের দুজনের প্রথম এবং
প্রধান কাজ ছিল পড়াশুনার গুল্লি মেরে এখানে সেখানে টো টো করে ঘুরে বেড়ানো।
কখনো দূরে কোথাও পুকুর দেখতে যাওয়া। পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে এলোমেলা কথার
ফুলঝুরি ছোটানো। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া। ঝালের চোটে চিৎকার করে
ফুচকাওয়ালাকে ভড়কে দেয়া।
রিক্সায় চড়ে বার কয়েক শিরোনামহীন রাস্তায় চক্কর দেয়া। টং
দোকানের ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দেয়া। শপিং মলে ঘুরে ফিরে ক্লান্ত
মেঝেতে বসে পড়া। অনেকে বলতে পারে এগুলো হয়তো কৈশর বয়সের পাগালমি। বিবেকবোধ
জাগ্রত হলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আসলেই কি তাই? হয়তোবা এর মাঝে সুপ্ত
একমুঠো ভালবাসা লুকিয়ে আছে যেটা সকলেরই দৃষ্টির অগোচরে রয়ে গেছে।
এত সুখ এত আনন্দ ওদের জীবনে বেশিদিন সইলোনা। এইচ.এস.সি শেষ
হতে না হতেই রিয়া পরিবারসহ হাজার মাইল দূরের দেশ আমরিকায় পাড়ি জমায়। ওখানে
যাবার প্রথম কয়েকদিন দুজনের খাওয়া দাওয়া ঘুম সবই হয়েছিল কম্পিউটারের সামনে।
ধীরে ধীরে রিয়া নিজেকে ঐ দেশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে শুরু করলো। আর
তমালও ভার্সিটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। একদিন দুদিন করে সময় গড়াতে লাগলো এবং
একসময় যে যার পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেলো কারন কথায় আছে "আউট অফ সাইট, আউট
অফ মাইন্ড"।
সারারাত মুভি দেখে এবং ফ্রেন্ডদের সাথে চ্যাটিং করে সকাল ৬
টার কিছু পরে ক্লান্ত দেহে বিছানায় গেলো তমাল। শোবার সাথে সাথেই ঘুমে চোখ
জড়িয়ে এলো। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মনে হয় একটা স্বপ্ন দেখছিলো। স্বপ্নে যখন কঠিন
ক্ল্যাইম্যাক্স তখনি মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো। কতক্ষন ঘুমিয়েছে তমালের জানা
নেই মনে হলো মাত্রই চোখ বন্ধ করেছে এরই মধ্যে ফোন। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে
চোখ বন্ধ করে ফোন রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে ধমকের সুরে বলে উঠলো, "এখনও
ঘুমাচ্ছিস? তাড়াতাড়ি হ্যালেভেশিয়াতে আয় আমি ওখানে একা একা বসে আছি।"
"এই কথা শুনতেই তমাল লাফিয়ে উঠে বিছানায় বসে পড়ে এবং
অবিশ্বাসমাখা কন্ঠে বলে ওঠে, “তু তু তুইইই কবে দেশে এলি?" অপরপ্রান্ত থেকে
জবাব আসে, "গতকাল। তোকে সারপ্রাইজ দিবো ভেবে আগে থেকে কিছুই জানাইনি।
যাইহোক ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে আয় নাহলে আমি চলে যাবো বলে দিলাম।" এই কথা
শুনে তমাল বললো, "তুই থাক আমি এখনি আসছি" ফোন রেখে কোন মতে ফ্রেশ হয়ে
জামাকাপড় পরে ঘর থেকে বের হতে যাবে তখনই সামনে মা এসে পড়ে, মাকে পাশ কাটিয়ে
চলে যেতে যেতে বলতে লাগলো "আমি বাইরে যাচ্ছি আসতে দেরী হবে। বাহিরেই খেয়ে
নিবো।"
পেছন থেকে মায়ের হুংকার " সারারাত ঘুম নেই, খাওয়া নেই। এখন
কোথায় যাওয়া হচ্ছে?" মা বলেই যাচ্ছে আর তমালও দরজা খুলে পা বাড়িয়েছে। আস্তে
আস্তে মায়ের কন্ঠ মিলিয়ে যেতে লাগলো।
হ্যালভেশিয়ার ঢুকে সাদা জামা পরা মেয়েটাকে দেখে চিনতে একটুও
ভুল হলনা তমালের। একবছর পর দেশে ফিরে এসেছে রিয়া। পুরো পরিবারসহ আমেরিকায়
চলে গিয়েছিল গত বছর। এখন হঠাৎ করে কি মনে করে দেশে ফিরে এলো এই ব্যাপারটা
নিয়ে চিন্তা করতে করতে রিয়ার পাশে বসে পড়ে তমাল। বসতে না বসতেই রিয়া বলে
উঠে, "হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস্ ডে।"
এ কথা শুনে তমাল যেনো আকাশ থেকে পড়লো কারন ওর মনেই ছিলনা আজকে ভ্যালেন্টানস্ ডে। এর উত্তরে খুব ছোট্ট করে বললো, "সেম টু ইয়্যু।"
"হঠাৎ কি মনে করে দেশে ফেরা হলো?"
রিয়ার স্বভাবসুলভ উত্তর, "মন চাইছে চলে আসছি। তোর কোন সমস্যা? সমস্যা থাকলে বল আমি এখনই চলে যাই।"
"আরে আরে আমি তো এমনিই জানতে চাইলাম। বলা নাই কওয়া নাই হঠাৎ চলে এলি তাই একটু কিউরিয়াস দ্যাটস্ অল।"
"মনে আছে তোকে কথা দিয়েছিলাম ভ্যালেন্টাইনস্ ড্যা তে তোর সাথে কাটাবো? তাই ৭ দিনের ছুটিতে চলে এলাম।"
তমাল চরম বিস্ময়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো, "তুই কি একা এসেছিস?"
রিয়া মিটি মিটি হাসতে হাসতে বললো, "হুম, একা এসেছি এখানেও তোর প্রবলেম? সরে যা আমার সামনে থেকে আমি গেলাম।"
-"আরে কি করছিস । আমি কি কিছুই জিজ্ঞেস করতে পারবো না নাকি?"
--"পারবি। তবে এখন না। এখনি সব বলে ফেললে সারাদিন ধরে করবো টা কি?"
-"সারাদিন আমার সাথে থাকার প্ল্যান?"
--"অবশ্যই। কেন তোর কোন অসুবিধা আছে? কোন মেয়ের সাথে ডেটিং ফিক্সড হয়ে আছে? অসুবিধা থাকলে বল আমি এখনই চলে যাই।"
-"আরে আমি কি তাই বলেছি নাকি? রিয়া তোর কথায় কথায় রাগ করার অভ্যাসটা এখনও গেলো না।"
--"হুম, গেলো না। আর আমি রাগ না করলে তো তুই বেকার হয়ে যাবি।
তোর তো তাহলে আর কোন কাজ থাকলো না। এই কথা বলে খিল খিল করে হাসতে লাগলো।
যাইহোক কি খাবি বল শুনি। অর্ডার দিয়ে আসি।"
খাবারের অর্ডার দিয়ে এসে ওদের দুজনের কথা চলতে থাকলো। তমাল জিজ্ঞেস করে, "তোর ওখানকার লাইফ কেমন কাটে? ভালো লাগে?"
--"না লাগলেও তো কিছু করার নেই তাই না? প্রথম প্রথম খুব খারাপ
লাগতো সেটা তুই ভালো করেই জানিস। এখন আর তেমন কিছু মনে হয় না।" ক্লাস শেষ
করে জবে যাওয়া এবং সেখান থেকে বাসায় ফিরে নিজের কাজ নিজে করা। সত্যি বলতে
নিঃশ্বাস ফেলারই সময়ই পাইনা ভাববো কখন? তবে উইকেন্ডে বের হয়ে আমাদের বয়সী
কাউকে দেখলে বুকের মাঝে একধরনের শূন্যতাবোধ কাজ করে। তখন মনে হয় সবকিছু
ছেড়ে দিয়ে আবার দেশে ফিরে আসি। আবারও স্বপ্নের দিনগুলোতে ফিরে যাই।"
বলতে বলতেই ওদের ডাক পড়লো খাবার নিয়ে আসার জন্য। খেতে খেতে
অনেকদিনের জমানো কথাগুলো উগড়ে দিতে লাগলো দুজনে। আশেপাশে কে আছে না আছে কোন
দিকেই ওদের দৃষ্টি নেই। এ ভুবনে শুধু ওরা দুই মানব মানবী ছাড়া আর কারও
যেনো অস্তিত্ব নেই। বাকি সবকিছু কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজ হয়ে আছে।
রিয়া বলে যায়, "তোর মনে আছে আমার চলে যাবার দিনের কথা? ইস কি
খারাপটাই না লাগছিলো! মনে হচ্ছিলো জীবনে আর কখনও ঐভাবে ঘুরাঘুরি করতে
পারবোনা, মজা করতে পারবো না এটা ভেবে কাঁদতে কাঁদতে আমার শ্বাসকষ্ট শুরু
হয়ে গিয়েছিল। জানিস ওখানে বন্ধু বান্ধব হয়েছে এবং উইকেন্ডে আমরা এখানে
সেখানে ঘুরতে বের হই। কিন্তু আগের মত মজা পাই না। ওখানে বন্ধুত্বের
সম্পর্কটাও কেমন জানি ধূসর। কারো সাথেই আমি স্বাভাবিক হতে পারি না কোনভাবেই
নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি না। ওখানকার জীবন অনেক বেশি আলাদা।"
রিয়ার মন খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে খাওয়া শেষ হতেই তমাল বললো,
"চল রিয়া এবার বের হই। তোকে নিয়ে অনেকদিন রিক্সায় ঘুরি না। আজকে অনেক সময়
নিয়ে ঘুরে বেড়াবো" রিক্সায় ঘুরার কথা শুনে রিয়া চমকে উঠলো আর চিৎকার দিয়ে
উঠলো, "ইসসসসসসসস কত্তদিন রিক্সায় ঘুরি না।" লাফিয়ে উঠে তমালকে সরিয়ে দিয়ে
সোজা গেট দিয়ে বের হয়ে গেলো। রিয়ার মাইন্ড খুব সহজেই অন্যদিকে ডাইভার্ট করা
যায়। তমাল ওর পাগলামি দেখে অভ্যস্থ তাই একটুও অবাক না হয়ে বের হয়ে রিক্সা
ঠিক করে উঠে পড়ে।
বেইলি রোড থেকে রিক্সায় উঠে ঘুরতে ঘুরতে যখন টি.এস.সির দিকে
গেলো তখন টি.এস.সির অবস্থা দেখে দুজনের চোখ ছানাবড়া অবস্থা। ওদের মনে হলো
ঢাকার আর কোন ছেলে মেয়ে বাদ নেই সব টি.এস.সিতে এসে হাজির হয়েছে। ওদের
রিক্সা কোনভাবেই এগুচ্ছে না। এগুলা নিয়ে ওদের মাথা ব্যাথা নেই। ওরা ওদের মত
গল্প করেই যাচ্ছে। অনেক দিন পর রিয়াকে কাছে পাওয়ায় রিয়ার প্রতি তমালের
পুরোনো ভালোবাসা আবার জেগে উঠেছে। এবং এক পর্যায়ে তমাল ভীষন আগেবী হয়ে
রিয়ার কাছে জানতে চায়, "আমাদের মধ্যে কি কখনই কিছু সম্ভব নয়?"
তমালের প্রশ্নে রিয়া একটু আনমনা হয়ে গেলো। কিছু সময় পরে বলতে
লাগলো, "দেখ তমাল আমার আগে একটা রিলেশন ছিলো। তুই আমাকে একসময় অনেক সাপোর্ট
দিয়েছিস। তোর কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ। তোর জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।
এই যেমন আজ আমি ফ্যামিলি ছেড়ে এত দূর ছুটে এসেছি শুধু তোর জন্য। আমি সব
পারবো শুধু তোর সাথে সম্পর্কে জড়াতে পারবো না। কারন তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড
আমি তোকে ধোঁকা দিতে পারবো না। আমি আমার এক্সকে এখনও লাভ করি। আমি তোর
ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারবো না। ইয়্যু ডিসার্ভ বেটার দ্যান মি।”
তমাল বললো, "তুই আমাকে একদিন বলেছিলি যেটা আমার এখনও মনে আছে
আর তা হলো একসাথে থাকতে থাকতে ভালোবাসা হয়ে যায়। আমাদের চেষ্টা করতে দোষ
কি? আই লাভ ইয়্যু মোর দেন এনিথিং এ্যান্ড ইয়্যু নো দ্যাট।” রিয়া তার কথায়
অটল সে তমালের জন্য সব কিছু করতে পারবে শুধু রিলেশনশিপে যাওয়া ছাড়া। তমাল
অনেক আকুতি মিনুতি করে শেষ পর্যন্ত চুপ করে গেলো। রিক্সা তখন হাইকোর্টের
সামনে দিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আকাশের রক্তিম আভা যেন ছড়িয়ে পড়েছে রিয়ার সারা মুখে। তমালের
ইচ্ছে করে ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলতে, তুই কেন বুঝিস না তোকে আমি
কতটা ভালবাসি? আর কতটা ভালবাসলে তুই আমার হয়ে যাবি? আর কতটা ভালবাসলে তোর
সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে শুধু আমিই থাকবো? আর কতটা ভালবাসলে তোর কাজল কালো চোখের
দিকে তাকিয়ে আমার অর্থহীন জীবনটা সার্থক হয়ে যাবে?
সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময় রিয়া বলে, "আমি প্রচন্ড টায়্যার্ড
ফিল করছি আমি কি তোর কাঁধে মাথা রেখে একটু ঘুমাতে পারি? আর একটা কথা উনাকে
বল যে রিক্সা বনশ্রীর দিকে নিতে। এই রিক্সায় করেই বাসায় যাবো।"
এই বলে রিয়া তমালের কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেলো।
এতক্ষন ধরে কষ্ট করে জমিয়ে রাখা চোখের জলগুলো বৃষ্টিধারার মত
নীরবে গড়াতে লাগলো। রিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আর অন্ধকারে চলছে তমালের নীরব
অশ্রু বিসর্জন। দুজনে এতটা কাছাকাছি থেকেও যেন কত দূরে। ঘুমের মাঝে রিয়ার
ঠোঁটের কোনে একচিলতে হাসি ফুটে উঠেছে। ঘুমের মাঝে হয়তো কোন সুখো স্বপ্ন
দেখছে। একগুছো চুল এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ওর সারা মুখ জুড়ে। তমাল
খুব সাবধানে চুলগুলো সরিয়ে দিলো যেনো সহসাই ঘুম ভেঙ্গে হাসিটা মিইয়ে না
যায়।
রিক্সা যখন রামপুরা ওভারব্রীজ দিয়ে বনশ্রীতে ঢুকছে তখন তমাল
আলতো স্বরে ওর নাম ধরে ডাকে। ওকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে বলে, “সরি তোকে
ডিস্টার্ব করার জন্য। তোর বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি।”
চোখ ডলতে ডলতে রিয়া বললো, “থ্যাংকস্ এ্যা লট তমাল এত সুন্দর একটা দিন উপহার দেয়ার জন্য।”
তমাল বললো, "আরে আমি আবার কি করলাম? ইয়্যু মেইড মাই ড্যে। তুই যদি সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে না আসতি তবে..."
"এ্যানিওয়েজ... হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস্ ড্যা ওয়্যানস্ এগেইন” বলে বিদায় নিতে যাবে রিয়া...
তখনি দাঁড়া বলে তমাল কি মনে করে ওয়ালেট বের করল। সেখান থেকে
শতছিন্ন এক টুকরো কাগজ বেরুলো... সেখানে কিছু লেখা। রিয়া বুঝতে পারলো না
তমাল কি চাইছে। তমাল মোবাইল বের করে মোবাইলের মৃদু আলোয় আবৃত্তি শুরু
করল...
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি কখনও ভুল করে বলে ফেলো ভালোবাসি।
এমন কিছু ক্ষতি হবেনা পৃথিবীর
বদলে দিতে হবে না কোন সংবিধান,
কমে যাবে দীর্ঘশ্বাস আর অপেক্ষার জন্ম নিবে
আরেকটি নতুন সুখ সত্তার।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি অন্যায়গুলো অনুশোচনায় বদলে যায়
এমন কিছু ক্ষতি হবে না সময়ের,
হারিয়ে যাবে দুঃখ আর হতাশা
জন্ম নিবে আরেকটি কাঙ্খিত পৃথিবীর।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি ভুল করে বলে ফেলো
আমি, আমরা অনুশোচনায় কাতর
নিজের মত ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর
তোমাকে..!
গল্পটি ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন ..ব্যর্থ প্রেমের গল্প..