Monday, November 7, 2016

মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়ের ভালোবাসা

সে একদম অন্য রকম ভাবে হয়, তাহলে একটা গল্প শোনানো যাক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের ভালোবাসা সম্পর্কে।মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলা হুট করে কোন মেয়েকে বলতে পারেনা ভালোবাসি।
কারন ওরা নিজেদের নিয়ে একধরনের হীনমন্যতায় ভোগে।
ওদের মনে সবসময় একটা ভীতি কাজ করে, ওর সামাজিক অবস্থান জানার পর মেয়েটি যদি ওকে ফিরিয়ে দেয়।মেয়েটা যদি ছেলেটার প্রস্তাবে সাড়া দেয় তবুও দুশ্চিন্তার শেষ নেই!
একটা সম্পর্কে জড়ানোর চেয়ে সে সম্পর্কটা টেনে নেয়ার কাজটা বরং বেশি কঠিন।
মেয়েটার সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলা। কোন উতসবে দুজনে মিলে ঘুরতে বের হওয়া।ভালো কোথাও খেতে যাওয়া কিংবা জন্মদিনে টুকটাক কিছু গিফট করার কথা মাথায় আসলে চোখেমুখে অন্ধকার দেখে ছেলেটা। এই চিন্তা থেকে অনেক ছেলেই কোন মেয়েকে তার ভালোবাসার কথা কোনদিন মুখ ফুটে বলতে পারেনা। এ সবকিছুর পরও অনেক ছেলে সাহস করে মেয়েটাকে ভালোবাসি বলে ফেলে।
মেয়েটাও একসময় ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। ছেলেটা তখন থেকে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে। স্বপ্ন দেখে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মেয়েটাকে বিয়ে করে সুখের সংসার বুনবে।মেয়েটা কলেজের সেকেন্ড কিংবা থার্ড ইয়ারে উঠতেই বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাবের হিড়িক পড়ে যায়।মেয়েটা গভীর রাতে দিশেহারার মত ছেলেটাকে ফোন করে অসহায়ের মত চোখের জল ফেলে আর ছেলেটা পাথরের মূর্তির মত মন দিয়ে সব কথা শোনে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলে।আর মধ্যবিত্ত হয়ে জন্ম নেয়ার জন্য মনে মনে নিজেকে অভিশাপ দেয়।একসময় ওরা দুজন নিয়তিকে মেনে নেয়। ওরা কেউ কাউকে দোষ দেয়না। যেন ওদের ভাগ্যে এমনটাই হবার কথা ছিল।সারাজীবন হয়ত একটা অপূর্নতা বয়ে বেড়াতে হবে এটাই যা আফসোস। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সবচেয়ে বড় গুন ওরা অনানুষিক কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।যেদিন বাড়িতে ছেলেপক্ষ মেয়েটাকে দেখতে আসে মেয়েটা তখন বুকে পাথর রেখে শাড়ি পরে মাথা নিচু করে ওদের সামনে গিয়ে বসে।মেয়েটার বুকের মাঝে যে রক্তক্ষরন হয় সেটা কেউ টের পায়না। একসময় মেয়েটার বিয়েও হয়ে যায়।আবার চলতে থাকে কম্প্রোমাইজ, মেনে নেওয়ার খেলা।থেমে থাকে না কিছুই.., মধ্যবিত্ত মানুষদের থামতে নেই।

No comments:

Post a Comment