Friday, November 25, 2016
আমার পাগলীটার জন্য

- হুম...
- ক'টা বাজে?
- ছ'টা...
- আচ্ছা। দাড়াও আমি উঠে চা দিচ্ছি ....
- হুম ...
- ( চোঁখ খুলতেই সামনে রাখা ল্যাপটপে ভিডিও কলে নীলের মুখটা সামনে)
এই তুমি কই?
- অফিসে ..
- এত সকালে !!!!
( ঘড়ির দিকে তাকাতেই 9:30)
রাগ করে কলটা কেটে দেয় বৃষ্টি ...
খাট থেকে সামনে পা বাড়াতেই চিরকুট
( জানতাম তো কলটা কেটে দেব... যাও দাঁত টা ব্রাশ করে নাও। পাশের টেবিলে ব্রাশ পেষ্ট রাখা আছে ...)
ব্রাশটা হাতে নিয়ে মুচকি হাসে বৃষ্টি ...
পেষ্টের নিচের চিরকুটে লেখা ...
( হেসনা ... ফ্রস হয়ে এস আগে)
বাতরুমের দরজায় লাগানো চিরকুট
(হিটারে পানি গরম করা আছে .... )
বৃষ্টি হেসে ভিতরে ঢুকতেই, শাড়ি পুরো গুছিয়ে রাখা আছে ...)
শাড়িটা পরে বেরিয়ে ড্রেসিং টেবিলে লাগানো চিরকুটে দেখতে পায় ...
( এই চুলটা তো ভাল করে মুছে নাও ..)
চুল মুছে ভেজা টাওয়াল শুকোতে দিতে গিয়ে ...
( এই টিপ পড়তে ভুলে গেছ কিন্তু)
বৃষ্টি দৌড়ে এসে টিপ পড়তে গেলে ..
লাল টিপের পাতার নিচে
( বারান্দায় যাও না গো ...)
বারান্দয় যেতেই টি টেবিলে বৃষ্টির পছন্দের আদা চায়ের সমস্ত ব্যবস্থা ...
( ঠান্ডা হয়ে যাবে বলে বানালাম না। দু, চামচ চিনি দিয়ে চা টা বানিয়ে নাও)
চা বানিয়ে প্রিচটা উঠাতেই ...
(একাই চা খেবে ? আমাকে ডাকবে না? আমি কিন্তু চা খেয়ে আসিনি ...)
বৃষ্টি ফোনটা তুলে নীলকে ফোন করতে যেতেই দরজায় কলিং এর শব্দ ...
ছুটে দরজা খুলতেই,
-লাভ ইউ পাগলি....
বৃষ্টি কিছু বলতে পারে না শুধু শক্ত করে নীলকে জড়ায় ...
- এই চা কিন্তু ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ... আমি কিন্তু মিথ্যে বলে অফিস থেকে বেড়িয়েছি..
- তুমি এমন কেন?
- আমার পাগলিটার জন্য ...
- আমায় তুললে না কেন?
- তুললে কি পাগলিটা আমায় এমন করে জড়াত ...???
- কি??????
( হাসতে হাসতে ওরা চায়ের কাপে চুমুক দেয়)
Thursday, November 24, 2016
Wednesday, November 23, 2016
Tuesday, November 22, 2016
ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর তোমাকে

তমাল এবং রিয়া কলেজ লাইফের ফ্রেন্ড। ওদের দুজনের প্রথম এবং প্রধান কাজ ছিল পড়াশুনার গুল্লি মেরে এখানে সেখানে টো টো করে ঘুরে বেড়ানো। কখনো দূরে কোথাও পুকুর দেখতে যাওয়া। পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে এলোমেলা কথার ফুলঝুরি ছোটানো। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া। ঝালের চোটে চিৎকার করে ফুচকাওয়ালাকে ভড়কে দেয়া।
রিক্সায় চড়ে বার কয়েক শিরোনামহীন রাস্তায় চক্কর দেয়া। টং
দোকানের ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দেয়া। শপিং মলে ঘুরে ফিরে ক্লান্ত
মেঝেতে বসে পড়া। অনেকে বলতে পারে এগুলো হয়তো কৈশর বয়সের পাগালমি। বিবেকবোধ
জাগ্রত হলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আসলেই কি তাই? হয়তোবা এর মাঝে সুপ্ত
একমুঠো ভালবাসা লুকিয়ে আছে যেটা সকলেরই দৃষ্টির অগোচরে রয়ে গেছে।
এত সুখ এত আনন্দ ওদের জীবনে বেশিদিন সইলোনা। এইচ.এস.সি শেষ
হতে না হতেই রিয়া পরিবারসহ হাজার মাইল দূরের দেশ আমরিকায় পাড়ি জমায়। ওখানে
যাবার প্রথম কয়েকদিন দুজনের খাওয়া দাওয়া ঘুম সবই হয়েছিল কম্পিউটারের সামনে।
ধীরে ধীরে রিয়া নিজেকে ঐ দেশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে শুরু করলো। আর
তমালও ভার্সিটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। একদিন দুদিন করে সময় গড়াতে লাগলো এবং
একসময় যে যার পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেলো কারন কথায় আছে "আউট অফ সাইট, আউট
অফ মাইন্ড"।
সারারাত মুভি দেখে এবং ফ্রেন্ডদের সাথে চ্যাটিং করে সকাল ৬
টার কিছু পরে ক্লান্ত দেহে বিছানায় গেলো তমাল। শোবার সাথে সাথেই ঘুমে চোখ
জড়িয়ে এলো। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মনে হয় একটা স্বপ্ন দেখছিলো। স্বপ্নে যখন কঠিন
ক্ল্যাইম্যাক্স তখনি মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো। কতক্ষন ঘুমিয়েছে তমালের জানা
নেই মনে হলো মাত্রই চোখ বন্ধ করেছে এরই মধ্যে ফোন। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে
চোখ বন্ধ করে ফোন রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে ধমকের সুরে বলে উঠলো, "এখনও
ঘুমাচ্ছিস? তাড়াতাড়ি হ্যালেভেশিয়াতে আয় আমি ওখানে একা একা বসে আছি।"
"এই কথা শুনতেই তমাল লাফিয়ে উঠে বিছানায় বসে পড়ে এবং
অবিশ্বাসমাখা কন্ঠে বলে ওঠে, “তু তু তুইইই কবে দেশে এলি?" অপরপ্রান্ত থেকে
জবাব আসে, "গতকাল। তোকে সারপ্রাইজ দিবো ভেবে আগে থেকে কিছুই জানাইনি।
যাইহোক ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে আয় নাহলে আমি চলে যাবো বলে দিলাম।" এই কথা
শুনে তমাল বললো, "তুই থাক আমি এখনি আসছি" ফোন রেখে কোন মতে ফ্রেশ হয়ে
জামাকাপড় পরে ঘর থেকে বের হতে যাবে তখনই সামনে মা এসে পড়ে, মাকে পাশ কাটিয়ে
চলে যেতে যেতে বলতে লাগলো "আমি বাইরে যাচ্ছি আসতে দেরী হবে। বাহিরেই খেয়ে
নিবো।"
পেছন থেকে মায়ের হুংকার " সারারাত ঘুম নেই, খাওয়া নেই। এখন
কোথায় যাওয়া হচ্ছে?" মা বলেই যাচ্ছে আর তমালও দরজা খুলে পা বাড়িয়েছে। আস্তে
আস্তে মায়ের কন্ঠ মিলিয়ে যেতে লাগলো।
হ্যালভেশিয়ার ঢুকে সাদা জামা পরা মেয়েটাকে দেখে চিনতে একটুও
ভুল হলনা তমালের। একবছর পর দেশে ফিরে এসেছে রিয়া। পুরো পরিবারসহ আমেরিকায়
চলে গিয়েছিল গত বছর। এখন হঠাৎ করে কি মনে করে দেশে ফিরে এলো এই ব্যাপারটা
নিয়ে চিন্তা করতে করতে রিয়ার পাশে বসে পড়ে তমাল। বসতে না বসতেই রিয়া বলে
উঠে, "হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস্ ডে।"
এ কথা শুনে তমাল যেনো আকাশ থেকে পড়লো কারন ওর মনেই ছিলনা আজকে ভ্যালেন্টানস্ ডে। এর উত্তরে খুব ছোট্ট করে বললো, "সেম টু ইয়্যু।"
"হঠাৎ কি মনে করে দেশে ফেরা হলো?"
রিয়ার স্বভাবসুলভ উত্তর, "মন চাইছে চলে আসছি। তোর কোন সমস্যা? সমস্যা থাকলে বল আমি এখনই চলে যাই।"
"আরে আরে আমি তো এমনিই জানতে চাইলাম। বলা নাই কওয়া নাই হঠাৎ চলে এলি তাই একটু কিউরিয়াস দ্যাটস্ অল।"
"মনে আছে তোকে কথা দিয়েছিলাম ভ্যালেন্টাইনস্ ড্যা তে তোর সাথে কাটাবো? তাই ৭ দিনের ছুটিতে চলে এলাম।"
তমাল চরম বিস্ময়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো, "তুই কি একা এসেছিস?"
"হঠাৎ কি মনে করে দেশে ফেরা হলো?"
রিয়ার স্বভাবসুলভ উত্তর, "মন চাইছে চলে আসছি। তোর কোন সমস্যা? সমস্যা থাকলে বল আমি এখনই চলে যাই।"
"আরে আরে আমি তো এমনিই জানতে চাইলাম। বলা নাই কওয়া নাই হঠাৎ চলে এলি তাই একটু কিউরিয়াস দ্যাটস্ অল।"
"মনে আছে তোকে কথা দিয়েছিলাম ভ্যালেন্টাইনস্ ড্যা তে তোর সাথে কাটাবো? তাই ৭ দিনের ছুটিতে চলে এলাম।"
তমাল চরম বিস্ময়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো, "তুই কি একা এসেছিস?"
রিয়া মিটি মিটি হাসতে হাসতে বললো, "হুম, একা এসেছি এখানেও তোর প্রবলেম? সরে যা আমার সামনে থেকে আমি গেলাম।"
-"আরে কি করছিস । আমি কি কিছুই জিজ্ঞেস করতে পারবো না নাকি?"
--"পারবি। তবে এখন না। এখনি সব বলে ফেললে সারাদিন ধরে করবো টা কি?"
-"সারাদিন আমার সাথে থাকার প্ল্যান?"
--"অবশ্যই। কেন তোর কোন অসুবিধা আছে? কোন মেয়ের সাথে ডেটিং ফিক্সড হয়ে আছে? অসুবিধা থাকলে বল আমি এখনই চলে যাই।"
-"আরে আমি কি তাই বলেছি নাকি? রিয়া তোর কথায় কথায় রাগ করার অভ্যাসটা এখনও গেলো না।"
--"হুম, গেলো না। আর আমি রাগ না করলে তো তুই বেকার হয়ে যাবি।
তোর তো তাহলে আর কোন কাজ থাকলো না। এই কথা বলে খিল খিল করে হাসতে লাগলো।
যাইহোক কি খাবি বল শুনি। অর্ডার দিয়ে আসি।"
খাবারের অর্ডার দিয়ে এসে ওদের দুজনের কথা চলতে থাকলো। তমাল জিজ্ঞেস করে, "তোর ওখানকার লাইফ কেমন কাটে? ভালো লাগে?"
--"না লাগলেও তো কিছু করার নেই তাই না? প্রথম প্রথম খুব খারাপ
লাগতো সেটা তুই ভালো করেই জানিস। এখন আর তেমন কিছু মনে হয় না।" ক্লাস শেষ
করে জবে যাওয়া এবং সেখান থেকে বাসায় ফিরে নিজের কাজ নিজে করা। সত্যি বলতে
নিঃশ্বাস ফেলারই সময়ই পাইনা ভাববো কখন? তবে উইকেন্ডে বের হয়ে আমাদের বয়সী
কাউকে দেখলে বুকের মাঝে একধরনের শূন্যতাবোধ কাজ করে। তখন মনে হয় সবকিছু
ছেড়ে দিয়ে আবার দেশে ফিরে আসি। আবারও স্বপ্নের দিনগুলোতে ফিরে যাই।"
বলতে বলতেই ওদের ডাক পড়লো খাবার নিয়ে আসার জন্য। খেতে খেতে
অনেকদিনের জমানো কথাগুলো উগড়ে দিতে লাগলো দুজনে। আশেপাশে কে আছে না আছে কোন
দিকেই ওদের দৃষ্টি নেই। এ ভুবনে শুধু ওরা দুই মানব মানবী ছাড়া আর কারও
যেনো অস্তিত্ব নেই। বাকি সবকিছু কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজ হয়ে আছে।
রিয়া বলে যায়, "তোর মনে আছে আমার চলে যাবার দিনের কথা? ইস কি
খারাপটাই না লাগছিলো! মনে হচ্ছিলো জীবনে আর কখনও ঐভাবে ঘুরাঘুরি করতে
পারবোনা, মজা করতে পারবো না এটা ভেবে কাঁদতে কাঁদতে আমার শ্বাসকষ্ট শুরু
হয়ে গিয়েছিল। জানিস ওখানে বন্ধু বান্ধব হয়েছে এবং উইকেন্ডে আমরা এখানে
সেখানে ঘুরতে বের হই। কিন্তু আগের মত মজা পাই না। ওখানে বন্ধুত্বের
সম্পর্কটাও কেমন জানি ধূসর। কারো সাথেই আমি স্বাভাবিক হতে পারি না কোনভাবেই
নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি না। ওখানকার জীবন অনেক বেশি আলাদা।"
রিয়ার মন খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে খাওয়া শেষ হতেই তমাল বললো,
"চল রিয়া এবার বের হই। তোকে নিয়ে অনেকদিন রিক্সায় ঘুরি না। আজকে অনেক সময়
নিয়ে ঘুরে বেড়াবো" রিক্সায় ঘুরার কথা শুনে রিয়া চমকে উঠলো আর চিৎকার দিয়ে
উঠলো, "ইসসসসসসসস কত্তদিন রিক্সায় ঘুরি না।" লাফিয়ে উঠে তমালকে সরিয়ে দিয়ে
সোজা গেট দিয়ে বের হয়ে গেলো। রিয়ার মাইন্ড খুব সহজেই অন্যদিকে ডাইভার্ট করা
যায়। তমাল ওর পাগলামি দেখে অভ্যস্থ তাই একটুও অবাক না হয়ে বের হয়ে রিক্সা
ঠিক করে উঠে পড়ে।
বেইলি রোড থেকে রিক্সায় উঠে ঘুরতে ঘুরতে যখন টি.এস.সির দিকে
গেলো তখন টি.এস.সির অবস্থা দেখে দুজনের চোখ ছানাবড়া অবস্থা। ওদের মনে হলো
ঢাকার আর কোন ছেলে মেয়ে বাদ নেই সব টি.এস.সিতে এসে হাজির হয়েছে। ওদের
রিক্সা কোনভাবেই এগুচ্ছে না। এগুলা নিয়ে ওদের মাথা ব্যাথা নেই। ওরা ওদের মত
গল্প করেই যাচ্ছে। অনেক দিন পর রিয়াকে কাছে পাওয়ায় রিয়ার প্রতি তমালের
পুরোনো ভালোবাসা আবার জেগে উঠেছে। এবং এক পর্যায়ে তমাল ভীষন আগেবী হয়ে
রিয়ার কাছে জানতে চায়, "আমাদের মধ্যে কি কখনই কিছু সম্ভব নয়?"
তমালের প্রশ্নে রিয়া একটু আনমনা হয়ে গেলো। কিছু সময় পরে বলতে
লাগলো, "দেখ তমাল আমার আগে একটা রিলেশন ছিলো। তুই আমাকে একসময় অনেক সাপোর্ট
দিয়েছিস। তোর কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ। তোর জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।
এই যেমন আজ আমি ফ্যামিলি ছেড়ে এত দূর ছুটে এসেছি শুধু তোর জন্য। আমি সব
পারবো শুধু তোর সাথে সম্পর্কে জড়াতে পারবো না। কারন তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড
আমি তোকে ধোঁকা দিতে পারবো না। আমি আমার এক্সকে এখনও লাভ করি। আমি তোর
ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারবো না। ইয়্যু ডিসার্ভ বেটার দ্যান মি।”
তমাল বললো, "তুই আমাকে একদিন বলেছিলি যেটা আমার এখনও মনে আছে
আর তা হলো একসাথে থাকতে থাকতে ভালোবাসা হয়ে যায়। আমাদের চেষ্টা করতে দোষ
কি? আই লাভ ইয়্যু মোর দেন এনিথিং এ্যান্ড ইয়্যু নো দ্যাট।” রিয়া তার কথায়
অটল সে তমালের জন্য সব কিছু করতে পারবে শুধু রিলেশনশিপে যাওয়া ছাড়া। তমাল
অনেক আকুতি মিনুতি করে শেষ পর্যন্ত চুপ করে গেলো। রিক্সা তখন হাইকোর্টের
সামনে দিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আকাশের রক্তিম আভা যেন ছড়িয়ে পড়েছে রিয়ার সারা মুখে। তমালের
ইচ্ছে করে ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলতে, তুই কেন বুঝিস না তোকে আমি
কতটা ভালবাসি? আর কতটা ভালবাসলে তুই আমার হয়ে যাবি? আর কতটা ভালবাসলে তোর
সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে শুধু আমিই থাকবো? আর কতটা ভালবাসলে তোর কাজল কালো চোখের
দিকে তাকিয়ে আমার অর্থহীন জীবনটা সার্থক হয়ে যাবে?
সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময় রিয়া বলে, "আমি প্রচন্ড টায়্যার্ড
ফিল করছি আমি কি তোর কাঁধে মাথা রেখে একটু ঘুমাতে পারি? আর একটা কথা উনাকে
বল যে রিক্সা বনশ্রীর দিকে নিতে। এই রিক্সায় করেই বাসায় যাবো।"
এই বলে রিয়া তমালের কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেলো।
এতক্ষন ধরে কষ্ট করে জমিয়ে রাখা চোখের জলগুলো বৃষ্টিধারার মত
নীরবে গড়াতে লাগলো। রিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আর অন্ধকারে চলছে তমালের নীরব
অশ্রু বিসর্জন। দুজনে এতটা কাছাকাছি থেকেও যেন কত দূরে। ঘুমের মাঝে রিয়ার
ঠোঁটের কোনে একচিলতে হাসি ফুটে উঠেছে। ঘুমের মাঝে হয়তো কোন সুখো স্বপ্ন
দেখছে। একগুছো চুল এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ওর সারা মুখ জুড়ে। তমাল
খুব সাবধানে চুলগুলো সরিয়ে দিলো যেনো সহসাই ঘুম ভেঙ্গে হাসিটা মিইয়ে না
যায়।
রিক্সা যখন রামপুরা ওভারব্রীজ দিয়ে বনশ্রীতে ঢুকছে তখন তমাল
আলতো স্বরে ওর নাম ধরে ডাকে। ওকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে বলে, “সরি তোকে
ডিস্টার্ব করার জন্য। তোর বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি।”
চোখ ডলতে ডলতে রিয়া বললো, “থ্যাংকস্ এ্যা লট তমাল এত সুন্দর একটা দিন উপহার দেয়ার জন্য।”
তমাল বললো, "আরে আমি আবার কি করলাম? ইয়্যু মেইড মাই ড্যে। তুই যদি সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে না আসতি তবে..."
"এ্যানিওয়েজ... হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস্ ড্যা ওয়্যানস্ এগেইন” বলে বিদায় নিতে যাবে রিয়া...
তখনি দাঁড়া বলে তমাল কি মনে করে ওয়ালেট বের করল। সেখান থেকে
শতছিন্ন এক টুকরো কাগজ বেরুলো... সেখানে কিছু লেখা। রিয়া বুঝতে পারলো না
তমাল কি চাইছে। তমাল মোবাইল বের করে মোবাইলের মৃদু আলোয় আবৃত্তি শুরু
করল...
আমি এখনও অপেক্ষায় আছিযদি কখনও ভুল করে বলে ফেলো ভালোবাসি।
এমন কিছু ক্ষতি হবেনা পৃথিবীর
বদলে দিতে হবে না কোন সংবিধান,
কমে যাবে দীর্ঘশ্বাস আর অপেক্ষার জন্ম নিবে
আরেকটি নতুন সুখ সত্তার।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি অন্যায়গুলো অনুশোচনায় বদলে যায়
এমন কিছু ক্ষতি হবে না সময়ের,
হারিয়ে যাবে দুঃখ আর হতাশা
জন্ম নিবে আরেকটি কাঙ্খিত পৃথিবীর।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি ভুল করে বলে ফেলো
আমি, আমরা অনুশোচনায় কাতর
নিজের মত ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর
তোমাকে..!
গল্পটি ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন ..ব্যর্থ প্রেমের গল্প..
Monday, November 21, 2016
অভিমানিনী কান্না ভালবাসার গল্প

গল্পটি ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন ..ব্যর্থ প্রেমের গল্প..
By-S.M Rafiq Sir .
টিভিটা খুলেই চোখ পড়ল নিউজ স্ক্রলের দিকে। কারওয়ান বাজার মোড়ে সড়ক
দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই ভয়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সমস্ত শরীর। লিখন তো ওইদিক
দিয়েই অফিসে যায়। ওর কিছু হয়নি তো? দৌড়ে মোবাইলটা নিয়ে ফোন করলাম
লিখনের ফোনে।মনে হল অনন্তকাল ধরে রিং হচ্ছে।নো আনসার! কাঁপা কাঁপা হাতে
আরেকবার ফোন করলাম।
হ্যালো।
তুমি ঠিক আছো? ওর কন্ঠটা শুনে মনে হল জীবন ফিরে পেলাম!
কেন, আমার আবার কখন কি হল? আমি মিটিং এ। অফিস টাইমে যে কেন ফোন কর, বুঝিনা।
কি বলবে একটু তাড়াতাড়ি বল।
না, কিছু বলবনা।
ওকে, টা টা।
কতটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে লিখন আজকাল।আমি তো ওকে লাঞ্চ ব্রেক ছাড়া ফোনই
করিনা, আজ করেছি কতটা টেনশনে পড়ে তা যদি ওকে বোঝাতে পারতাম। এমন রুক্ষ
ব্যবহার করার কি খুব দরকার ছিল? লাঞ্চের সময়ও তো প্রতিদিন আমিই ফোন করি। ও
খাওয়াদাওয়া করল কিনা না জানা পর্যন্ত কিছুই মুখে তুলতে ইচ্ছা করে না। কই
ও তো কোনদিন জানতে চায়না আমি খেয়েছি কিনা। অফিস থেকে আসার কথা সন্ধ্যে
সাতটার মধ্যে, মাঝে মাঝেই আটটা-নয়টা বাজে। আমি তো রাগ করিনা, ঝগড়াও
করিনা। শুধু একদিন ভেবেছিলাম কথা বলবনা ওর সাথে। কিন্তু আমার এই অভিমান
বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। সেদিন ও অফিসিয়াল ফাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পড়ল, আমি কথা বলছি কিনা এইটা খেয়ালই করলনা। ও তো এমন ছিলনা। আমাদের
ভার্সিটি লাইফের প্রেম। অনেক প্ল্যানিং ছিল বিয়ে নিয়ে। আমি নতুন নতুন
রান্না করে ওকে খাওয়াব, খেতে যেমনই হোক ও প্রশংসা করবে, যত ব্যস্ততাই
থাকুক অফিস থেকে আসার পর আমরা অনেক অনেক গল্প করব, আর ছুটির দিনগুলো
বেড়াতে যাব দূরে কোথাও। একসাথেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি আমরা। কিন্তু
সংসারে সময় দিতে পারবনা ভেবে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি না করার।
ইচ্ছা ছিল আগে সংসারটা গুছিয়ে নিয়ে তারপর ওসব চাকরির চিন্তা করব। ওর নতুন
চাকরিজীবন, আমি পাশে না থাকলে কি ও পারবে এতটা প্রেশার নিতে? ওর চাকরির
তিন মাস হতে চলল, এখন ওর ব্যস্ততার মাঝে আমাকে কোথাও খুঁজে পাইনা। তবু
অপেক্ষা করি, হয়তো আসবে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার দিন।
একটা বাজে, ওর লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে, আবার কি ফোন করা ঠিক হবে? দোটানার
মধ্যেও ফোন টা করেই ফেললাম।
সীমা, আমি জরুরি মিটিং এ আছি, প্লিজ এভাবে বারবার ফোন করনা।
তুমি কি লাঞ্চ করেছ?
না, দেরি হবে।
কখন খাবে? শরীর খারাপ করবে তো।
উফ, তুমি কেন আমার সিচুয়েশনটা একটুও বোঝার চেষ্টা করনা বলতো? এখন রাখলাম,
আমার মিটিং শেষ হলে খেয়ে নেব। বাই।
মনের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে উঠল। আমি কি সত্যি পারছিনা ওর যোগ্য সহধর্মিনী
হতে?
সারাটা দিন কাঁদলাম। কারো সাথে শেয়ার করতেও ভাল লাগেনা, যদি কেউ আমাদের
ভালবাসাকে ছোট করে! প্রেমের বিয়ে সুখের হয়না- এই উদাহরণের মধ্যে যদি কেউ
আমাকে ফেলে! আমার একটুও ভাল লাগবেনা। ও তো আমাকে বলে ছিল চাকরিটা
পার্মানেন্ট না হওয়া পর্যন্ত ওকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে, আমাকে ধৈর্য্যশীল
হতে হবে, আমিও বুঝি, তবু মনে হয় ও কি আমাকে আর একটু বেশি সময় দিতে
পারতনা?
কলিংবেল এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, ওহ, ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম।
পাঁচটা বাজে। কিন্তু এখন আবার কে এল? দরজা খুলতেই দেখি অবাক হয়ে গেলাম,
লিখন!
তুমি? এত তাড়াতাড়ি?
আই লাভ ইউ, মাই ডিয়ার ওয়াইফ!
মানে? আর তোমার হাতে এত্ গোলাপ কেন?
তোমার জন্য, তোমার মনে নেই? আজ কত তারিখ? আজ আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার
তারিখটা তুমি কি ভাবে ভুলে গেলে?
সরি, মনে ছিলনা, কিন্তু তোমার কিভাবে মনে থাকল?
তুমি তো জানো, আমি কাজের মধ্যে থাকলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু
ভাবতে পারিনা, একটা এসাইনমেন্ট ছিল, আজ প্রেজেন্ট করলাম, সবাই খুব প্রশংসা
করেছে, আমার চাকরি পার্মানেন্ট উইথ প্রমশোন ফ্রম নেক্সট মান্থ!
সত্যি?
হ্যাঁ, আর আমার এই সব কিছুর ক্রেডিট তো তোমার সোনা। আমি তোমাকে কতটা
ভালবাসি তা তুমি কখনই জানবেনা, আমি তো সেভাবে এক্সপ্রেস করতে পারিনা। তুমি
আমার উপর অনেক অভিমান কর তাই না? সরি…আচ্ছা, তুমি আমার সরি গ্রান্ট করেছ
কিভাবে বুঝব? বোঝাতে হলে চটপট রেডী হয়ে এস, আজ বাইরে ডিনার করব, ক্যান্ডল
লাইট ডিনার।
আমি জানিনা কেন অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলাম, সারাদিন কষ্ট পেয়ে অনেক
কেঁদেছি আবার এখন কাঁদছি অনাবিল আনন্দ নিয়ে। কি বলব আমি লিখনকে? নিজেকে
খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছিল।কি নাকি ভেবেছি এতগুলো দিন, অকারনে কস্ট পেয়েছি।
কি হল, এত কাঁদছ কেন? এখন কান্নার আবার কি হল?
কিছুই বলতে পারছিলামনা, শুধু ফিসফিস করে বললাম, আমি তোমাকে অনেক অনেক
ভালবাসি আর সবসময় বাসব…।।
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
By-S.M Rafiq Sir .
টিভিটা খুলেই চোখ পড়ল নিউজ স্ক্রলের দিকে। কারওয়ান বাজার মোড়ে সড়ক
দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই ভয়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সমস্ত শরীর। লিখন তো ওইদিক
দিয়েই অফিসে যায়। ওর কিছু হয়নি তো? দৌড়ে মোবাইলটা নিয়ে ফোন করলাম
লিখনের ফোনে।মনে হল অনন্তকাল ধরে রিং হচ্ছে।নো আনসার! কাঁপা কাঁপা হাতে
আরেকবার ফোন করলাম।
হ্যালো।
তুমি ঠিক আছো? ওর কন্ঠটা শুনে মনে হল জীবন ফিরে পেলাম!
কেন, আমার আবার কখন কি হল? আমি মিটিং এ। অফিস টাইমে যে কেন ফোন কর, বুঝিনা।
কি বলবে একটু তাড়াতাড়ি বল।
না, কিছু বলবনা।
ওকে, টা টা।
কতটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে লিখন আজকাল।আমি তো ওকে লাঞ্চ ব্রেক ছাড়া ফোনই
করিনা, আজ করেছি কতটা টেনশনে পড়ে তা যদি ওকে বোঝাতে পারতাম। এমন রুক্ষ
ব্যবহার করার কি খুব দরকার ছিল? লাঞ্চের সময়ও তো প্রতিদিন আমিই ফোন করি। ও
খাওয়াদাওয়া করল কিনা না জানা পর্যন্ত কিছুই মুখে তুলতে ইচ্ছা করে না। কই
ও তো কোনদিন জানতে চায়না আমি খেয়েছি কিনা। অফিস থেকে আসার কথা সন্ধ্যে
সাতটার মধ্যে, মাঝে মাঝেই আটটা-নয়টা বাজে। আমি তো রাগ করিনা, ঝগড়াও
করিনা। শুধু একদিন ভেবেছিলাম কথা বলবনা ওর সাথে। কিন্তু আমার এই অভিমান
বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। সেদিন ও অফিসিয়াল ফাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পড়ল, আমি কথা বলছি কিনা এইটা খেয়ালই করলনা। ও তো এমন ছিলনা। আমাদের
ভার্সিটি লাইফের প্রেম। অনেক প্ল্যানিং ছিল বিয়ে নিয়ে। আমি নতুন নতুন
রান্না করে ওকে খাওয়াব, খেতে যেমনই হোক ও প্রশংসা করবে, যত ব্যস্ততাই
থাকুক অফিস থেকে আসার পর আমরা অনেক অনেক গল্প করব, আর ছুটির দিনগুলো
বেড়াতে যাব দূরে কোথাও। একসাথেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি আমরা। কিন্তু
সংসারে সময় দিতে পারবনা ভেবে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি না করার।
ইচ্ছা ছিল আগে সংসারটা গুছিয়ে নিয়ে তারপর ওসব চাকরির চিন্তা করব। ওর নতুন
চাকরিজীবন, আমি পাশে না থাকলে কি ও পারবে এতটা প্রেশার নিতে? ওর চাকরির
তিন মাস হতে চলল, এখন ওর ব্যস্ততার মাঝে আমাকে কোথাও খুঁজে পাইনা। তবু
অপেক্ষা করি, হয়তো আসবে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার দিন।
একটা বাজে, ওর লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে, আবার কি ফোন করা ঠিক হবে? দোটানার
মধ্যেও ফোন টা করেই ফেললাম।
সীমা, আমি জরুরি মিটিং এ আছি, প্লিজ এভাবে বারবার ফোন করনা।
তুমি কি লাঞ্চ করেছ?
না, দেরি হবে।
কখন খাবে? শরীর খারাপ করবে তো।
উফ, তুমি কেন আমার সিচুয়েশনটা একটুও বোঝার চেষ্টা করনা বলতো? এখন রাখলাম,
আমার মিটিং শেষ হলে খেয়ে নেব। বাই।
মনের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে উঠল। আমি কি সত্যি পারছিনা ওর যোগ্য সহধর্মিনী
হতে?
সারাটা দিন কাঁদলাম। কারো সাথে শেয়ার করতেও ভাল লাগেনা, যদি কেউ আমাদের
ভালবাসাকে ছোট করে! প্রেমের বিয়ে সুখের হয়না- এই উদাহরণের মধ্যে যদি কেউ
আমাকে ফেলে! আমার একটুও ভাল লাগবেনা। ও তো আমাকে বলে ছিল চাকরিটা
পার্মানেন্ট না হওয়া পর্যন্ত ওকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে, আমাকে ধৈর্য্যশীল
হতে হবে, আমিও বুঝি, তবু মনে হয় ও কি আমাকে আর একটু বেশি সময় দিতে
পারতনা?
কলিংবেল এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, ওহ, ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম।
পাঁচটা বাজে। কিন্তু এখন আবার কে এল? দরজা খুলতেই দেখি অবাক হয়ে গেলাম,
লিখন!
তুমি? এত তাড়াতাড়ি?
আই লাভ ইউ, মাই ডিয়ার ওয়াইফ!
মানে? আর তোমার হাতে এত্ গোলাপ কেন?
তোমার জন্য, তোমার মনে নেই? আজ কত তারিখ? আজ আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার
তারিখটা তুমি কি ভাবে ভুলে গেলে?
সরি, মনে ছিলনা, কিন্তু তোমার কিভাবে মনে থাকল?
তুমি তো জানো, আমি কাজের মধ্যে থাকলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু
ভাবতে পারিনা, একটা এসাইনমেন্ট ছিল, আজ প্রেজেন্ট করলাম, সবাই খুব প্রশংসা
করেছে, আমার চাকরি পার্মানেন্ট উইথ প্রমশোন ফ্রম নেক্সট মান্থ!
সত্যি?
হ্যাঁ, আর আমার এই সব কিছুর ক্রেডিট তো তোমার সোনা। আমি তোমাকে কতটা
ভালবাসি তা তুমি কখনই জানবেনা, আমি তো সেভাবে এক্সপ্রেস করতে পারিনা। তুমি
আমার উপর অনেক অভিমান কর তাই না? সরি…আচ্ছা, তুমি আমার সরি গ্রান্ট করেছ
কিভাবে বুঝব? বোঝাতে হলে চটপট রেডী হয়ে এস, আজ বাইরে ডিনার করব, ক্যান্ডল
লাইট ডিনার।
আমি জানিনা কেন অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলাম, সারাদিন কষ্ট পেয়ে অনেক
কেঁদেছি আবার এখন কাঁদছি অনাবিল আনন্দ নিয়ে। কি বলব আমি লিখনকে? নিজেকে
খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছিল।কি নাকি ভেবেছি এতগুলো দিন, অকারনে কস্ট পেয়েছি।
কি হল, এত কাঁদছ কেন? এখন কান্নার আবার কি হল?
কিছুই বলতে পারছিলামনা, শুধু ফিসফিস করে বললাম, আমি তোমাকে অনেক অনেক
ভালবাসি আর সবসময় বাসব…।।
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
By-S.M Rafiq Sir .
টিভিটা খুলেই চোখ পড়ল নিউজ স্ক্রলের দিকে। কারওয়ান বাজার মোড়ে সড়ক
দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই ভয়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সমস্ত শরীর। লিখন তো ওইদিক
দিয়েই অফিসে যায়। ওর কিছু হয়নি তো? দৌড়ে মোবাইলটা নিয়ে ফোন করলাম
লিখনের ফোনে।মনে হল অনন্তকাল ধরে রিং হচ্ছে।নো আনসার! কাঁপা কাঁপা হাতে
আরেকবার ফোন করলাম।
হ্যালো।
তুমি ঠিক আছো? ওর কন্ঠটা শুনে মনে হল জীবন ফিরে পেলাম!
কেন, আমার আবার কখন কি হল? আমি মিটিং এ। অফিস টাইমে যে কেন ফোন কর, বুঝিনা।
কি বলবে একটু তাড়াতাড়ি বল।
না, কিছু বলবনা।
ওকে, টা টা।
কতটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে লিখন আজকাল।আমি তো ওকে লাঞ্চ ব্রেক ছাড়া ফোনই
করিনা, আজ করেছি কতটা টেনশনে পড়ে তা যদি ওকে বোঝাতে পারতাম। এমন রুক্ষ
ব্যবহার করার কি খুব দরকার ছিল? লাঞ্চের সময়ও তো প্রতিদিন আমিই ফোন করি। ও
খাওয়াদাওয়া করল কিনা না জানা পর্যন্ত কিছুই মুখে তুলতে ইচ্ছা করে না। কই
ও তো কোনদিন জানতে চায়না আমি খেয়েছি কিনা। অফিস থেকে আসার কথা সন্ধ্যে
সাতটার মধ্যে, মাঝে মাঝেই আটটা-নয়টা বাজে। আমি তো রাগ করিনা, ঝগড়াও
করিনা। শুধু একদিন ভেবেছিলাম কথা বলবনা ওর সাথে। কিন্তু আমার এই অভিমান
বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। সেদিন ও অফিসিয়াল ফাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পড়ল, আমি কথা বলছি কিনা এইটা খেয়ালই করলনা। ও তো এমন ছিলনা। আমাদের
ভার্সিটি লাইফের প্রেম। অনেক প্ল্যানিং ছিল বিয়ে নিয়ে। আমি নতুন নতুন
রান্না করে ওকে খাওয়াব, খেতে যেমনই হোক ও প্রশংসা করবে, যত ব্যস্ততাই
থাকুক অফিস থেকে আসার পর আমরা অনেক অনেক গল্প করব, আর ছুটির দিনগুলো
বেড়াতে যাব দূরে কোথাও। একসাথেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি আমরা। কিন্তু
সংসারে সময় দিতে পারবনা ভেবে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি না করার।
ইচ্ছা ছিল আগে সংসারটা গুছিয়ে নিয়ে তারপর ওসব চাকরির চিন্তা করব। ওর নতুন
চাকরিজীবন, আমি পাশে না থাকলে কি ও পারবে এতটা প্রেশার নিতে? ওর চাকরির
তিন মাস হতে চলল, এখন ওর ব্যস্ততার মাঝে আমাকে কোথাও খুঁজে পাইনা। তবু
অপেক্ষা করি, হয়তো আসবে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার দিন।
একটা বাজে, ওর লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে, আবার কি ফোন করা ঠিক হবে? দোটানার
মধ্যেও ফোন টা করেই ফেললাম।
সীমা, আমি জরুরি মিটিং এ আছি, প্লিজ এভাবে বারবার ফোন করনা।
তুমি কি লাঞ্চ করেছ?
না, দেরি হবে।
কখন খাবে? শরীর খারাপ করবে তো।
উফ, তুমি কেন আমার সিচুয়েশনটা একটুও বোঝার চেষ্টা করনা বলতো? এখন রাখলাম,
আমার মিটিং শেষ হলে খেয়ে নেব। বাই।
মনের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে উঠল। আমি কি সত্যি পারছিনা ওর যোগ্য সহধর্মিনী
হতে?
সারাটা দিন কাঁদলাম। কারো সাথে শেয়ার করতেও ভাল লাগেনা, যদি কেউ আমাদের
ভালবাসাকে ছোট করে! প্রেমের বিয়ে সুখের হয়না- এই উদাহরণের মধ্যে যদি কেউ
আমাকে ফেলে! আমার একটুও ভাল লাগবেনা। ও তো আমাকে বলে ছিল চাকরিটা
পার্মানেন্ট না হওয়া পর্যন্ত ওকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে, আমাকে ধৈর্য্যশীল
হতে হবে, আমিও বুঝি, তবু মনে হয় ও কি আমাকে আর একটু বেশি সময় দিতে
পারতনা?
কলিংবেল এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, ওহ, ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম।
পাঁচটা বাজে। কিন্তু এখন আবার কে এল? দরজা খুলতেই দেখি অবাক হয়ে গেলাম,
লিখন!
তুমি? এত তাড়াতাড়ি?
আই লাভ ইউ, মাই ডিয়ার ওয়াইফ!
মানে? আর তোমার হাতে এত্ গোলাপ কেন?
তোমার জন্য, তোমার মনে নেই? আজ কত তারিখ? আজ আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার
তারিখটা তুমি কি ভাবে ভুলে গেলে?
সরি, মনে ছিলনা, কিন্তু তোমার কিভাবে মনে থাকল?
তুমি তো জানো, আমি কাজের মধ্যে থাকলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু
ভাবতে পারিনা, একটা এসাইনমেন্ট ছিল, আজ প্রেজেন্ট করলাম, সবাই খুব প্রশংসা
করেছে, আমার চাকরি পার্মানেন্ট উইথ প্রমশোন ফ্রম নেক্সট মান্থ!
সত্যি?
হ্যাঁ, আর আমার এই সব কিছুর ক্রেডিট তো তোমার সোনা। আমি তোমাকে কতটা
ভালবাসি তা তুমি কখনই জানবেনা, আমি তো সেভাবে এক্সপ্রেস করতে পারিনা। তুমি
আমার উপর অনেক অভিমান কর তাই না? সরি…আচ্ছা, তুমি আমার সরি গ্রান্ট করেছ
কিভাবে বুঝব? বোঝাতে হলে চটপট রেডী হয়ে এস, আজ বাইরে ডিনার করব, ক্যান্ডল
লাইট ডিনার।
আমি জানিনা কেন অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলাম, সারাদিন কষ্ট পেয়ে অনেক
কেঁদেছি আবার এখন কাঁদছি অনাবিল আনন্দ নিয়ে। কি বলব আমি লিখনকে? নিজেকে
খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছিল।কি নাকি ভেবেছি এতগুলো দিন, অকারনে কস্ট পেয়েছি।
কি হল, এত কাঁদছ কেন? এখন কান্নার আবার কি হল?
কিছুই বলতে পারছিলামনা, শুধু ফিসফিস করে বললাম, আমি তোমাকে অনেক অনেক
ভালবাসি আর সবসময় বাসব…।।
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
By-S.M Rafiq Sir .
টিভিটা খুলেই চোখ পড়ল নিউজ স্ক্রলের দিকে। কারওয়ান বাজার মোড়ে সড়ক
দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই ভয়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সমস্ত শরীর। লিখন তো ওইদিক
দিয়েই অফিসে যায়। ওর কিছু হয়নি তো? দৌড়ে মোবাইলটা নিয়ে ফোন করলাম
লিখনের ফোনে।মনে হল অনন্তকাল ধরে রিং হচ্ছে।নো আনসার! কাঁপা কাঁপা হাতে
আরেকবার ফোন করলাম।
হ্যালো।
তুমি ঠিক আছো? ওর কন্ঠটা শুনে মনে হল জীবন ফিরে পেলাম!
কেন, আমার আবার কখন কি হল? আমি মিটিং এ। অফিস টাইমে যে কেন ফোন কর, বুঝিনা।
কি বলবে একটু তাড়াতাড়ি বল।
না, কিছু বলবনা।
ওকে, টা টা।
কতটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে লিখন আজকাল।আমি তো ওকে লাঞ্চ ব্রেক ছাড়া ফোনই
করিনা, আজ করেছি কতটা টেনশনে পড়ে তা যদি ওকে বোঝাতে পারতাম। এমন রুক্ষ
ব্যবহার করার কি খুব দরকার ছিল? লাঞ্চের সময়ও তো প্রতিদিন আমিই ফোন করি। ও
খাওয়াদাওয়া করল কিনা না জানা পর্যন্ত কিছুই মুখে তুলতে ইচ্ছা করে না। কই
ও তো কোনদিন জানতে চায়না আমি খেয়েছি কিনা। অফিস থেকে আসার কথা সন্ধ্যে
সাতটার মধ্যে, মাঝে মাঝেই আটটা-নয়টা বাজে। আমি তো রাগ করিনা, ঝগড়াও
করিনা। শুধু একদিন ভেবেছিলাম কথা বলবনা ওর সাথে। কিন্তু আমার এই অভিমান
বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। সেদিন ও অফিসিয়াল ফাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পড়ল, আমি কথা বলছি কিনা এইটা খেয়ালই করলনা। ও তো এমন ছিলনা। আমাদের
ভার্সিটি লাইফের প্রেম। অনেক প্ল্যানিং ছিল বিয়ে নিয়ে। আমি নতুন নতুন
রান্না করে ওকে খাওয়াব, খেতে যেমনই হোক ও প্রশংসা করবে, যত ব্যস্ততাই
থাকুক অফিস থেকে আসার পর আমরা অনেক অনেক গল্প করব, আর ছুটির দিনগুলো
বেড়াতে যাব দূরে কোথাও। একসাথেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি আমরা। কিন্তু
সংসারে সময় দিতে পারবনা ভেবে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি না করার।
ইচ্ছা ছিল আগে সংসারটা গুছিয়ে নিয়ে তারপর ওসব চাকরির চিন্তা করব। ওর নতুন
চাকরিজীবন, আমি পাশে না থাকলে কি ও পারবে এতটা প্রেশার নিতে? ওর চাকরির
তিন মাস হতে চলল, এখন ওর ব্যস্ততার মাঝে আমাকে কোথাও খুঁজে পাইনা। তবু
অপেক্ষা করি, হয়তো আসবে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার দিন।
একটা বাজে, ওর লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে, আবার কি ফোন করা ঠিক হবে? দোটানার
মধ্যেও ফোন টা করেই ফেললাম।
সীমা, আমি জরুরি মিটিং এ আছি, প্লিজ এভাবে বারবার ফোন করনা।
তুমি কি লাঞ্চ করেছ?
না, দেরি হবে।
কখন খাবে? শরীর খারাপ করবে তো।
উফ, তুমি কেন আমার সিচুয়েশনটা একটুও বোঝার চেষ্টা করনা বলতো? এখন রাখলাম,
আমার মিটিং শেষ হলে খেয়ে নেব। বাই।
মনের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে উঠল। আমি কি সত্যি পারছিনা ওর যোগ্য সহধর্মিনী
হতে?
সারাটা দিন কাঁদলাম। কারো সাথে শেয়ার করতেও ভাল লাগেনা, যদি কেউ আমাদের
ভালবাসাকে ছোট করে! প্রেমের বিয়ে সুখের হয়না- এই উদাহরণের মধ্যে যদি কেউ
আমাকে ফেলে! আমার একটুও ভাল লাগবেনা। ও তো আমাকে বলে ছিল চাকরিটা
পার্মানেন্ট না হওয়া পর্যন্ত ওকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে, আমাকে ধৈর্য্যশীল
হতে হবে, আমিও বুঝি, তবু মনে হয় ও কি আমাকে আর একটু বেশি সময় দিতে
পারতনা?
কলিংবেল এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, ওহ, ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম।
পাঁচটা বাজে। কিন্তু এখন আবার কে এল? দরজা খুলতেই দেখি অবাক হয়ে গেলাম,
লিখন!
তুমি? এত তাড়াতাড়ি?
আই লাভ ইউ, মাই ডিয়ার ওয়াইফ!
মানে? আর তোমার হাতে এত্ গোলাপ কেন?
তোমার জন্য, তোমার মনে নেই? আজ কত তারিখ? আজ আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার
তারিখটা তুমি কি ভাবে ভুলে গেলে?
সরি, মনে ছিলনা, কিন্তু তোমার কিভাবে মনে থাকল?
তুমি তো জানো, আমি কাজের মধ্যে থাকলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু
ভাবতে পারিনা, একটা এসাইনমেন্ট ছিল, আজ প্রেজেন্ট করলাম, সবাই খুব প্রশংসা
করেছে, আমার চাকরি পার্মানেন্ট উইথ প্রমশোন ফ্রম নেক্সট মান্থ!
সত্যি?
হ্যাঁ, আর আমার এই সব কিছুর ক্রেডিট তো তোমার সোনা। আমি তোমাকে কতটা
ভালবাসি তা তুমি কখনই জানবেনা, আমি তো সেভাবে এক্সপ্রেস করতে পারিনা। তুমি
আমার উপর অনেক অভিমান কর তাই না? সরি…আচ্ছা, তুমি আমার সরি গ্রান্ট করেছ
কিভাবে বুঝব? বোঝাতে হলে চটপট রেডী হয়ে এস, আজ বাইরে ডিনার করব, ক্যান্ডল
লাইট ডিনার।
আমি জানিনা কেন অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলাম, সারাদিন কষ্ট পেয়ে অনেক
কেঁদেছি আবার এখন কাঁদছি অনাবিল আনন্দ নিয়ে। কি বলব আমি লিখনকে? নিজেকে
খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছিল।কি নাকি ভেবেছি এতগুলো দিন, অকারনে কস্ট পেয়েছি।
কি হল, এত কাঁদছ কেন? এখন কান্নার আবার কি হল?
কিছুই বলতে পারছিলামনা, শুধু ফিসফিস করে বললাম, আমি তোমাকে অনেক অনেক
ভালবাসি আর সবসময় বাসব…।।
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
ভালবাসার গল্প
By-S.M Rafiq Sir .
টিভিটা খুলেই চোখ পড়ল নিউজ স্ক্রলের দিকে। কারওয়ান বাজার মোড়ে সড়ক
দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই ভয়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সমস্ত শরীর। লিখন তো ওইদিক
দিয়েই অফিসে যায়। ওর কিছু হয়নি তো? দৌড়ে মোবাইলটা নিয়ে ফোন করলাম
লিখনের ফোনে।মনে হল অনন্তকাল ধরে রিং হচ্ছে।নো আনসার! কাঁপা কাঁপা হাতে
আরেকবার ফোন করলাম।
হ্যালো।
তুমি ঠিক আছো? ওর কন্ঠটা শুনে মনে হল জীবন ফিরে পেলাম!
কেন, আমার আবার কখন কি হল? আমি মিটিং এ। অফিস টাইমে যে কেন ফোন কর, বুঝিনা।
কি বলবে একটু তাড়াতাড়ি বল।
না, কিছু বলবনা।
ওকে, টা টা।
কতটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে লিখন আজকাল।আমি তো ওকে লাঞ্চ ব্রেক ছাড়া ফোনই
করিনা, আজ করেছি কতটা টেনশনে পড়ে তা যদি ওকে বোঝাতে পারতাম। এমন রুক্ষ
ব্যবহার করার কি খুব দরকার ছিল? লাঞ্চের সময়ও তো প্রতিদিন আমিই ফোন করি। ও
খাওয়াদাওয়া করল কিনা না জানা পর্যন্ত কিছুই মুখে তুলতে ইচ্ছা করে না। কই
ও তো কোনদিন জানতে চায়না আমি খেয়েছি কিনা। অফিস থেকে আসার কথা সন্ধ্যে
সাতটার মধ্যে, মাঝে মাঝেই আটটা-নয়টা বাজে। আমি তো রাগ করিনা, ঝগড়াও
করিনা। শুধু একদিন ভেবেছিলাম কথা বলবনা ওর সাথে। কিন্তু আমার এই অভিমান
বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। সেদিন ও অফিসিয়াল ফাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পড়ল, আমি কথা বলছি কিনা এইটা খেয়ালই করলনা। ও তো এমন ছিলনা। আমাদের
ভার্সিটি লাইফের প্রেম। অনেক প্ল্যানিং ছিল বিয়ে নিয়ে। আমি নতুন নতুন
রান্না করে ওকে খাওয়াব, খেতে যেমনই হোক ও প্রশংসা করবে, যত ব্যস্ততাই
থাকুক অফিস থেকে আসার পর আমরা অনেক অনেক গল্প করব, আর ছুটির দিনগুলো
বেড়াতে যাব দূরে কোথাও। একসাথেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি আমরা। কিন্তু
সংসারে সময় দিতে পারবনা ভেবে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি না করার।
ইচ্ছা ছিল আগে সংসারটা গুছিয়ে নিয়ে তারপর ওসব চাকরির চিন্তা করব। ওর নতুন
চাকরিজীবন, আমি পাশে না থাকলে কি ও পারবে এতটা প্রেশার নিতে? ওর চাকরির
তিন মাস হতে চলল, এখন ওর ব্যস্ততার মাঝে আমাকে কোথাও খুঁজে পাইনা। তবু
অপেক্ষা করি, হয়তো আসবে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার দিন।
একটা বাজে, ওর লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে, আবার কি ফোন করা ঠিক হবে? দোটানার
মধ্যেও ফোন টা করেই ফেললাম।
সীমা, আমি জরুরি মিটিং এ আছি, প্লিজ এভাবে বারবার ফোন করনা।
তুমি কি লাঞ্চ করেছ?
না, দেরি হবে।
কখন খাবে? শরীর খারাপ করবে তো।
উফ, তুমি কেন আমার সিচুয়েশনটা একটুও বোঝার চেষ্টা করনা বলতো? এখন রাখলাম,
আমার মিটিং শেষ হলে খেয়ে নেব। বাই।
মনের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে উঠল। আমি কি সত্যি পারছিনা ওর যোগ্য সহধর্মিনী
হতে?
সারাটা দিন কাঁদলাম। কারো সাথে শেয়ার করতেও ভাল লাগেনা, যদি কেউ আমাদের
ভালবাসাকে ছোট করে! প্রেমের বিয়ে সুখের হয়না- এই উদাহরণের মধ্যে যদি কেউ
আমাকে ফেলে! আমার একটুও ভাল লাগবেনা। ও তো আমাকে বলে ছিল চাকরিটা
পার্মানেন্ট না হওয়া পর্যন্ত ওকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে, আমাকে ধৈর্য্যশীল
হতে হবে, আমিও বুঝি, তবু মনে হয় ও কি আমাকে আর একটু বেশি সময় দিতে
পারতনা?
কলিংবেল এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, ওহ, ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম।
পাঁচটা বাজে। কিন্তু এখন আবার কে এল? দরজা খুলতেই দেখি অবাক হয়ে গেলাম,
লিখন!
তুমি? এত তাড়াতাড়ি?
আই লাভ ইউ, মাই ডিয়ার ওয়াইফ!
মানে? আর তোমার হাতে এত্ গোলাপ কেন?
তোমার জন্য, তোমার মনে নেই? আজ কত তারিখ? আজ আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার
তারিখটা তুমি কি ভাবে ভুলে গেলে?
সরি, মনে ছিলনা, কিন্তু তোমার কিভাবে মনে থাকল?
তুমি তো জানো, আমি কাজের মধ্যে থাকলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু
ভাবতে পারিনা, একটা এসাইনমেন্ট ছিল, আজ প্রেজেন্ট করলাম, সবাই খুব প্রশংসা
করেছে, আমার চাকরি পার্মানেন্ট উইথ প্রমশোন ফ্রম নেক্সট মান্থ!
সত্যি?
হ্যাঁ, আর আমার এই সব কিছুর ক্রেডিট তো তোমার সোনা। আমি তোমাকে কতটা
ভালবাসি তা তুমি কখনই জানবেনা, আমি তো সেভাবে এক্সপ্রেস করতে পারিনা। তুমি
আমার উপর অনেক অভিমান কর তাই না? সরি…আচ্ছা, তুমি আমার সরি গ্রান্ট করেছ
কিভাবে বুঝব? বোঝাতে হলে চটপট রেডী হয়ে এস, আজ বাইরে ডিনার করব, ক্যান্ডল
লাইট ডিনার।
আমি জানিনা কেন অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলাম, সারাদিন কষ্ট পেয়ে অনেক
কেঁদেছি আবার এখন কাঁদছি অনাবিল আনন্দ নিয়ে। কি বলব আমি লিখনকে? নিজেকে
খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছিল।কি নাকি ভেবেছি এতগুলো দিন, অকারনে কস্ট পেয়েছি।
কি হল, এত কাঁদছ কেন? এখন কান্নার আবার কি হল?
কিছুই বলতে পারছিলামনা, শুধু ফিসফিস করে বললাম, আমি তোমাকে অনেক অনেক
ভালবাসি আর সবসময় বাসব…।।
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
Today Deal $50 Off : https://goo.gl/efW8Ef
Sunday, November 20, 2016
ব্যর্থ প্রেমের গল্প

মুন্নি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। অনেকদিন হল আমাদের বন্ধুত্ব।
নিয়মিত চ্যটিং আর মাঝে মাঝে মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে আমাদের এই বন্ধুত্বটা আমরা ঝালাই করে নেই।
অনেক রিকোয়েষ্টের পর গত কিছু দিন পূর্বে ওর কয়েকটি ফটো ও পাঠিয়েছিল
ফলে আমিও আমার ফটো দিয়েছিলাম ওকে।
আসলে বেশ কয়েক বছরের এই বন্ধুত্বের ফাকে কখন যে ওকে ভালবেসে ফলেছিলাম তা আমি নিজেও বলতে পারবোনা। অনেক দিন ওকে কথাটা বলব বলব করেও আর বলতে পারিনি ভয়ে।
যদি রাগ করে আমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও ন্ষ্ট করে দেয় ও।
এই ভয়ে কখনোই বলতে পারিনি ওকে মনের কথাটা।
অত:পর সিদ্ধান্ত নিলাম যা বলার সামনাসামনিই বলব ওকে। তখন যা হবার হবে।
তাই একদির দেখা করতে বললাম ওকে।কিন্তু ও কিছুতেই রাজি হল না।
বল্ল আরও কিছু দিন পর আমরা দেখা করব।
কি আর করা, দেখা করা হল না।
কিন্তু কি আশ্টর্য গত কিছুদিন পূর্বে আমি পাবলিক গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলাম
আর বসে বসে ওর সাথে চ্যটিং করছিলাম।
আমি ওকে জিগ্যেস করলাম
- তুমি কোথায়? কি করছো?
- বাসায় টিভি দেখছি। তুমি কি কর?
- আমি তো বাসায় শুয়ে রয়েছি
ঠিক যখন আামাদের চ্যটিং এই পর্যায়ে এমন সময় হঠাৎ আমার পাশের সিটে একটি মেয়ে এসে বসল।
স্বভাব অনুযায়ী মোবাইল থেকে দৃষ্টি ঘুড়িয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়েই আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম।
মেয়েটি তখনও মোবাইলে কারও সাথে চ্যটিংয়ে ব্যস্ত।
এই মেয়েটির চেহারা মুন্নির পাঠানো ফটোর সাথে পুরোপুরি মিল। কিন্তু ও তো এখন বাসায় বসে টিভি দেখছে বল্ল আমায়। ততক্ষনে মেয়েটিও আমার দিকে বিষ্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে।
কারও মুখেই যেন কোন ভাষা নেই এমন এক অবস্থায় আমাদের প্রথম দেখাটা হয়ে গেল।
দুজন একসাথেই বলে উঠলাম
- তুমি.........!!!
- তুমি.........!!!
- তুমি না বাসায় টিভি দেখছো?
- আর তুমি না বলে বাসায় শুয়ে রয়েছো?
কি আশ্চর্য প্রথম দেখাতেই লেগে গেল তুমুল ঝগড়া।
আমি তখন মুখ ফসকে বলে ফেল্লাম, প্রথম দেখাতেই এভাবে ঝগড়া করে
তোমার মতো মেয়ে আমি আমার জীবনেও দেখিনি।
আগুনে যেন ঘি ঢালার কাজ করল কথাটা।
- জীবনে কয়টা মেয়ের সাথে দেখা করেছো শুনি?
- একটাও না
- না.........করেছো তো, কারণ তোমার তো অভিজ্ঞতার শেষ নেই।
- আরে বল্লাম তো আমি করও সাথে দেখা করিনি।
কোন কাজ হল না। আমার সাথে ঝগড়া করে অগ্নিমূর্তি ধারন করেছেন উনি এখন।
- আজকের পর আমার সাথে কোন ধরনের কোন যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবা না।
- যথা আজ্ঞা
হতভম্ব হয়ে বাসের সিটে বসে রইলাম।
আমি জানি মুন্নি আমার সাথে আবারও যোগাযোগ করবে
কারন ওর চোখে আমি আমার জন্যে ভালবাসা দেথেছি।
আমাকে ভাল না বাসলে ও আমার সাথে এভাবে ঝগড়া করত না।
যাই হোক শুরু হল আমার অপেক্ষার প্রহর । ফেসবুকেও দেখি এখন আর আসে না ।
কল দেই কিন্তু মোবাইল বন্ধ পাই। বুঝতে পারছি না কিছু কি হয়ে গেল।
এভাবে চলে গেল প্রায় কয়েক মাস। দিনে দিনে আমার অস্থিরতা বারছেই। অপেক্ষার প্রহর যে আর শেষ হয় না।
ফেসবুকে অনেক কে জিজ্ঞেস করলাম ওর বাসার ঠিকানা কেউ জানে কিনা কিন্তু কেউ জানেনা।
কি যে করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
জীবনে একটা মেয়েকেই ভালবেসেছি। আর কোন মেয়েকে ভালবাসব না বলে পন করেছি।
কিন্তু যার জন্য এই সবকিছু তাকেই যদি জীবনে না পাই তাহলে কার জন্যে আমার এই ভালবাসা?
দিনে দিনে আমার সাস্থ খারাপ হতে লাগল। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছিলাম না মোটেও আর।
প্রায় মাস ছয়েক পর হঠাৎ দেখি মুন্নির নামে আমার কাছে একটি চিঠি আসল
যার শুরুতেই মুন্নির হাসি হাসি একটি ফটো দেওয়া।
দেখা মাত্রই খুশি হয়ে উঠলাম।
পড়া আড়ম্ভ করলাম
প্রিয় সাকিব,
আশা করি ভালই আছ। আমাকে ছাড়া শুখে আছ।
দিন যায় রাত আসে আবার রাত যায় দিন আসে।
এভাবেই দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়।
প্রতিদিনকার সুর্যের নতুন আলো দেখে মানুষ নতুন ভাবে বাঁচতে শিখে।
কিন্তু আমি পারিনা। কারন আমি যে ক্যন্সার রোগী।
ডাক্তার আমাকে বলেছে আমি আর বেশি দিন বাঁচবোনা।
জানো, এতে আমার কোন কষ্ট নাই কিন্তু কষ্টটা লাগে যখন আমার বাবা-মার চেহারার দিকে তা্কাই।
কষ্টে তখন আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরে তখন।
আমি সব সময় চিন্তা করেছি আমাকে ছাড়া আমার বাবা মাও একদিন বাচতে শিখে যাবে
কারন তাদের আমি ছাড়াও আরও সন্তান আছে কিন্তু যে মানুষটা আমাকে ভালবেসে
আমাকে জীবন সঙ্গী বানানোর জন্যে অপেক্ষায় আছে সেই মানুষটার কি হবে?
সে তো পুরোই একা হয়ে যাবে।
তাই কখনোই আামার ভালবাসাটা প্রকাশ করিনি।
পাছে যদি সেই মানুষটা কষ্ট পায় আমার জন্য।
কিন্তু আমি যানি আমাকে ছাড়াই সেই মানুষটা আজ বেঁচে থাকতে শিখে গেছে।
আজ আর তার ততোটা কষ্ট হবে না যতোটা কষ্ট হত আরও আগে জানালে।
আজ আমি তোমার কাছে কিছুই লুকাব না
কারন আমি জানি তোমার কাছে যখন এই চিঠিটা যাবে তখন আমি আর এই পৃথিবীতে থাকবোনা।
তাই আজ আমি তোমার কাছে সব সত্য বলব। কিছুই লুকাবো না।
সত্যিই আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
যা কখনোই আমি তোমাকে বুঝাতে পারিনি বা চাইনি।
আমি চেয়েছিলাম তুমি সুখে থাক তাই তোমাকে ভালবাসার কথা বলে তোমার মনে আশার আলো জাগিয়ে তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি।
ভালবাসা অন্তরে। অন্তর দিয়ে ভালবাসলে সেই ভালবাসা সারাজীবন থেকে যায়।
কষ্ট পেওনা প্লিজ।আমি সেই আকাশের তারা হয়ে সবসময় তোমাকে দেখব।
আর রাত জেগে আমরা গল্প করব।
পরিশেষে তোমার জন্য একটি গানের দুটো লাইনঃ
যখন থামবে কোলাহল.........
ঘুমে নিঝুম চারিদিক
আকাশের উজ্জল তারাটা..........
মিট মিট করে শুধু জ্বলছে
বুঝে নিয়ো তোমাকে আমি ভাবছি......
তোমাকেই কাছে ডাকছি।
ঘুমিয়ে পড়ো না বন্ধু আমার
জেগে থেকো সেই রাতে।
Note: ভালবাসা জীবনে কথন কিভাবে আসে তা যেমন কেউ যানেনা
ঠিক তেমনি এটা কখন হারিয়ে যায় তাও কেউ বলতে পারেনা
ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন
Monday, November 7, 2016
মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়ের ভালোবাসা
সে একদম অন্য রকম ভাবে হয়, তাহলে একটা গল্প শোনানো যাক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের ভালোবাসা সম্পর্কে।মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলা হুট করে কোন মেয়েকে বলতে পারেনা ভালোবাসি।
কারন ওরা নিজেদের নিয়ে একধরনের হীনমন্যতায় ভোগে।
ওদের মনে সবসময় একটা ভীতি কাজ করে, ওর সামাজিক অবস্থান জানার পর মেয়েটি যদি ওকে ফিরিয়ে দেয়।মেয়েটা যদি ছেলেটার প্রস্তাবে সাড়া দেয় তবুও দুশ্চিন্তার শেষ নেই!
একটা সম্পর্কে জড়ানোর চেয়ে সে সম্পর্কটা টেনে নেয়ার কাজটা বরং বেশি কঠিন।
মেয়েটার সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলা। কোন উতসবে দুজনে মিলে ঘুরতে বের হওয়া।ভালো কোথাও খেতে যাওয়া কিংবা জন্মদিনে টুকটাক কিছু গিফট করার কথা মাথায় আসলে চোখেমুখে অন্ধকার দেখে ছেলেটা। এই চিন্তা থেকে অনেক ছেলেই কোন মেয়েকে তার ভালোবাসার কথা কোনদিন মুখ ফুটে বলতে পারেনা। এ সবকিছুর পরও অনেক ছেলে সাহস করে মেয়েটাকে ভালোবাসি বলে ফেলে।
মেয়েটাও একসময় ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। ছেলেটা তখন থেকে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে। স্বপ্ন দেখে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মেয়েটাকে বিয়ে করে সুখের সংসার বুনবে।মেয়েটা কলেজের সেকেন্ড কিংবা থার্ড ইয়ারে উঠতেই বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাবের হিড়িক পড়ে যায়।মেয়েটা গভীর রাতে দিশেহারার মত ছেলেটাকে ফোন করে অসহায়ের মত চোখের জল ফেলে আর ছেলেটা পাথরের মূর্তির মত মন দিয়ে সব কথা শোনে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলে।আর মধ্যবিত্ত হয়ে জন্ম নেয়ার জন্য মনে মনে নিজেকে অভিশাপ দেয়।একসময় ওরা দুজন নিয়তিকে মেনে নেয়। ওরা কেউ কাউকে দোষ দেয়না। যেন ওদের ভাগ্যে এমনটাই হবার কথা ছিল।সারাজীবন হয়ত একটা অপূর্নতা বয়ে বেড়াতে হবে এটাই যা আফসোস। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সবচেয়ে বড় গুন ওরা অনানুষিক কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।যেদিন বাড়িতে ছেলেপক্ষ মেয়েটাকে দেখতে আসে মেয়েটা তখন বুকে পাথর রেখে শাড়ি পরে মাথা নিচু করে ওদের সামনে গিয়ে বসে।মেয়েটার বুকের মাঝে যে রক্তক্ষরন হয় সেটা কেউ টের পায়না। একসময় মেয়েটার বিয়েও হয়ে যায়।আবার চলতে থাকে কম্প্রোমাইজ, মেনে নেওয়ার খেলা।থেমে থাকে না কিছুই.., মধ্যবিত্ত মানুষদের থামতে নেই।
কারন ওরা নিজেদের নিয়ে একধরনের হীনমন্যতায় ভোগে।
ওদের মনে সবসময় একটা ভীতি কাজ করে, ওর সামাজিক অবস্থান জানার পর মেয়েটি যদি ওকে ফিরিয়ে দেয়।মেয়েটা যদি ছেলেটার প্রস্তাবে সাড়া দেয় তবুও দুশ্চিন্তার শেষ নেই!
একটা সম্পর্কে জড়ানোর চেয়ে সে সম্পর্কটা টেনে নেয়ার কাজটা বরং বেশি কঠিন।
মেয়েটার সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলা। কোন উতসবে দুজনে মিলে ঘুরতে বের হওয়া।ভালো কোথাও খেতে যাওয়া কিংবা জন্মদিনে টুকটাক কিছু গিফট করার কথা মাথায় আসলে চোখেমুখে অন্ধকার দেখে ছেলেটা। এই চিন্তা থেকে অনেক ছেলেই কোন মেয়েকে তার ভালোবাসার কথা কোনদিন মুখ ফুটে বলতে পারেনা। এ সবকিছুর পরও অনেক ছেলে সাহস করে মেয়েটাকে ভালোবাসি বলে ফেলে।
মেয়েটাও একসময় ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। ছেলেটা তখন থেকে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে। স্বপ্ন দেখে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মেয়েটাকে বিয়ে করে সুখের সংসার বুনবে।মেয়েটা কলেজের সেকেন্ড কিংবা থার্ড ইয়ারে উঠতেই বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাবের হিড়িক পড়ে যায়।মেয়েটা গভীর রাতে দিশেহারার মত ছেলেটাকে ফোন করে অসহায়ের মত চোখের জল ফেলে আর ছেলেটা পাথরের মূর্তির মত মন দিয়ে সব কথা শোনে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলে।আর মধ্যবিত্ত হয়ে জন্ম নেয়ার জন্য মনে মনে নিজেকে অভিশাপ দেয়।একসময় ওরা দুজন নিয়তিকে মেনে নেয়। ওরা কেউ কাউকে দোষ দেয়না। যেন ওদের ভাগ্যে এমনটাই হবার কথা ছিল।সারাজীবন হয়ত একটা অপূর্নতা বয়ে বেড়াতে হবে এটাই যা আফসোস। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সবচেয়ে বড় গুন ওরা অনানুষিক কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।যেদিন বাড়িতে ছেলেপক্ষ মেয়েটাকে দেখতে আসে মেয়েটা তখন বুকে পাথর রেখে শাড়ি পরে মাথা নিচু করে ওদের সামনে গিয়ে বসে।মেয়েটার বুকের মাঝে যে রক্তক্ষরন হয় সেটা কেউ টের পায়না। একসময় মেয়েটার বিয়েও হয়ে যায়।আবার চলতে থাকে কম্প্রোমাইজ, মেনে নেওয়ার খেলা।থেমে থাকে না কিছুই.., মধ্যবিত্ত মানুষদের থামতে নেই।
Subscribe to:
Posts (Atom)